স্বদেশ ডেস্ক: মুক্তিযোদ্ধাদের নামে দেশের এ পর্যন্ত নামহীন সব রাস্তা, সেতু ও কালভার্টের নামকরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হবে।’
আজ শুক্রবার পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর বাজারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বিভিন্ন রাস্তার নাম কোন কোন মুক্তিযোদ্ধার নামে করা যায় সে বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরই গ্রহণ করতে হবে। ইতিমধ্যে দেশের অধিকাংশ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জমিপ্রাপ্তি সাপেক্ষে অবশিষ্ট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সগুলোর নির্মাণ কাজও দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।’
মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতাসহ বিভিন্ন সুবিধা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সকল মৃত মুক্তিযোদ্ধার জন্য একই ডিজাইনের কবর তৈরি করা হবে, যাতে কবর দেখেই সকলে বুঝতে পারে এটা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর। মুক্তিযোদ্ধাদের সহজে চিহ্নিত করার সুবিধার্থে ডিজিটাল পরিচয়পত্র প্রদানের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
এর আগে মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দাপ্তরিক কাজ অধিকতর সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে পাঁচতলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট তিন তলা আটঘরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন।
পাবনার জেলা প্রশাসক কবির আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন স্কয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম, পাবনা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র নুরুজ্জামান বিশ্বাস, সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকরাম আলী খান, বেড়া পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বাতেন প্রমুখ।